ওয়েবসাইটের র্যাংকিং বাড়ানোর জন্য ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ওয়েবসাইট রাঙ্কিং এ ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

সবাই গুগলে ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করাতে চায়। এই ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করার জন্য আমরা কত কিছুই না করি। অনেক কিছু করার পরও অনেকে র্যাঙ্ক করতে পারে না। কারণ তাদের কাজের মধ্যে অনেক ভুল থাকে। এই ভুল গুলো হওয়ার অন্যতম কারণ হল অনেকেই ওয়েবসাইট এসইও করার কাজ শুরু করে কিন্তু গুগল এর গুরুত্বপূর্ন র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলো না জেনেই। সে জন্য কোন কোন বিষয় গুলোর উপর গুরুত্ব দিলে বা কি কি করলে একটি ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করবে তা আগে জানতে হবে।
১. ডোমেইনের বয়স গুগল র্যাকিং এর একটি ফ্যাক্টর। যদিও একটি খুব বড় বিষয় নয় কিন্তু এটিও বিবেচনা করতে হবে।
২. ডোমেইনের মধ্যে কীওয়ার্ড থাকা একটি রিলেভেন্সি সিগন্যাল হিসেবে কাজ করে তাই ডোমেইন কেনার সময় কীওয়ার্ড যুক্ত ডোমেইন কেনার চেষ্টা করুন।
৩. ডোমেইনের মধ্যে যদি কোন দেশের এক্সটেনশন থাকে (যেমনঃ .bd, .cn, .pt. তাহলের সেই ডোমেইনটি ঐ দেশের জন্য ভালো র্যাঙ্ক করবে কিন্তু ওয়াল্ড ওয়াইড র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে।
৪. একটি ওয়েবসাইটের URL ওয়েবসাইট র্যাঙ্কিং এ ভুমিকা রাখে। URL যদি বেশি লম্বা হয় তা র্যাঙ্কিং এর জন্য ঝুকিপূর্ন।
৫. URL এ কীওয়ার্ড ব্যবহার র্যাঙ্কিং এর জন্য ভালো। এটি রিলেভেন্সি সিগন্যাল প্রকাশ করে।
৬. টাইটেলে কীওয়ার্ড একটি ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্কিং করতে সাহায্য করে। এটি হল একটি পেজের ২য় গুরুত্বপূর্ন বিষয়। যে টাইটেলটি কীওয়ার্ড দিয়ে শুরু হয় তা অন্য যে টাইটেলের শেষে কীওয়ার্ড থাকে তার থেকে রাঙ্কিং এ এগিয়ে থাকে।
৭. H1 ট্যাগ হল ২য় গুরুত্বপূর্ন ট্যাগ যা গুগল এর কাছে রেলিভেন্সি সিগন্যাল পাঠায়। তাই অবশ্যই H1 ট্যাগে কীওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত।
৮. একটি কন্টেন্ট কতটুকু বড় তার উপর নির্ভর করে একটি ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং। গুগল বড় কন্টেন্ট গুলো বেশি পছন্দ করে কারণ বড় কন্টেন্ট গুলোর মধ্যে কোন একটি বিষয়ের অনেক গুলো দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। পিলার আর্টিকেল এর ভ্যালু বেশি গুগল এর কাছে। পিলার আর্টিকেল বলতে ৩০০০ শব্দের আর্টিকেলকে বোঝানো হয়ে থাকে।
৯. কন্টেন্টের মধ্যে LSI কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। LSI কীওয়ার্ড হলো কীওয়ার্ডের সাথে সমার্থক বা সম্পর্কিত শব্দ। যেমনঃ SEO কীওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কিত SEO Optimization, On page optimization ইত্যাদি সবগুলোই LSI কীওয়ার্ড। র্যাঙ্কিং এর জন্য কন্টেন্টে LSI কীওয়ার্ডের ব্যবহার করতে হবে।
১০. গুগল র্যাঙ্ক করার ক্ষেত্রে পেজ লোডিং স্পীডকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। ওয়েব পেজের প্রত্যেকটি HTML কোড এবং ফাইল সাইজ গুগল র্যাঙ্কিং এ প্রভাব ফেলে।
১১. একজনের কন্টেন্ট কপি করে আরেকজন ব্যবহার করা গুগল এর কাছে একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য। ডুপ্লিকেট কন্টেন্টের ওয়েবসাইট গুগল র্যাঙ্ক করে না।
১২. ইমেজ অপ্টিমাইজেশন গুগল র্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্র একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ন ফ্যাক্টর। ইমেজের ফাইল নাম, Alt Tag, টাইটেল, ডেসক্রিপশন এবং ক্যাপশন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে গুগল এর কাছে রেলিভেন্সি সিগন্যাল যায়।
১৩. কীওয়ার্ড প্রমিনেন্স হল কন্টেন্টের প্রথম ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে কীওয়ার্ড থাকা কে বুঝায়। আপনার কীওয়ার্ড যদি কন্টেন্টের প্রথম ১০০ ওয়ার্ডের মধ্যে থাকে তাহলে র্যাঙ্কিং এর জন্য ভালো।
১৪. যখন কোন কীওয়ার্ড অর্ডার অর্থাৎ কীওয়ার্ড ফ্রেজের ওয়ার্ডগুলো গুছানো থাকে তখন সেই কীওয়ার্ড অগোছালো কীওয়ার্ডের তুলনায় ভালো র্যাঙ্ক করবে। যেমনঃ “Graphic Design Tutorial” এবং “Tutorial of Graphic Design” কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে “Graphic Design Tutorial” কীওয়ার্ডটি ভালো র্যাঙ্কিং করবে।
১৫. অথরিটি সাইটের সাথে ওয়েবসাইটে আউটবাউন্ড লিঙ্ক থাকলে তা র্যাঙ্কিং এ গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে।
১৬. একটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্টে গ্রামার এবং স্পেলিং সঠিকভাবে থাকেলে তা কোয়ালিটি সিগন্যাল প্রকাশ করে।
১৭. ওয়েবসাইটে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার গুগল র্যাঙ্কিং এ প্রভাব ফেলে মাল্টিমিডিয়া যেমনঃ ইমেজ, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স এবং অডিও। ইউটিউব ভিডিও বিগ প্লাস হিসেবে কাজ করে।
১৮. একটি পেইজের মধ্যে অন্যান্য পেইজের সাথে কতগুলো ইন্টারনাল লিঙ্ক থাকে তা একটি র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর। কারণ সেই লিঙ্ক গুলো অন্যন্য পেইজের সাথে সম্পর্ক এবং গুরুত্ব প্রকাশ করে।
১৯. একটি ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক থাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি ওয়েবসাইটে অনেক বেশি অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক ব্যবহার করা হয় তাহলে সেই ওয়েবসাইট র্যাঙ্ক করা কঠিন হয়ে পড়বে।
২০. বুলেট এবং নাম্বার লিস্ট একটি ওয়েবসাইটের কন্টেন্টকে ভিজিটরের জন্য সহজ করে তুলে। সে জন্য বড় বড় মার্কেটারদের মতে কন্টেন্টে বুলেট এবং লিস্ট ব্যবহার করা গুগলের পছন্দ।
২১. একটি ওয়েবসাইটের অনেকটি কীওয়ার্ড র্যাঙ্ক হলে তা ভালো ওয়েবসাইটের লক্ষন। তাই কিছু কীওয়ার্ড র্যাঙ্ক করলে তা আপনার নতুন কীওয়ার্ডের র্যাঙ্ক করতে সাহায্য করবে।
২২. ওয়েবসাইট কতদিনে আপডেটেড হয় তাও গুগল র্যাঙ্কিং এর প্রভাব ফেলে। প্রতিনিয়ত আপডেটেড বা নতুন কন্টেন্ট যোগ হলে তার ওয়েবসাইটের ফ্রেশনেস প্রকাশ করে।
২৩. সাইটমেপ গুগলকে সহজে ইনডেক্স করতে সাহায্য করে এবং ভিজিবিলিটি বাড়ায়। তাই র্যাঙ্কিং এর সুবিধার্থে সাইট মেপ ব্যবহার করা উচিত।
২৪. ওয়েবসাইটের জন্য কোন রকম ডুপ্লিকেট মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করা যাবে না।
২৫. গুগল এর র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফ্যাক্টর হলো, আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল অপ্টিমাইজড হতে হবে। যেহতু এখন মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক এবং প্রতিনিয়ত বাড়ছে তাই মোবাইল অপ্টিমাইজড ওয়েবসাইটকে গুগল প্রাধান্য দিচ্ছে ।
২৬. পুরোনো ওয়েবসাইট থেকে তৈরি হওয়া ব্যাকলিঙ্ক র্যাঙ্কিং এর জন্য ভালো কাজ করে।
২৭. কন্টেন্ট এর মধ্যে আপনার মেইন কীওয়ার্ড যেনো একবার বোল্ড, একবার ইটালিক এবং একবার আন্ডারলাইন করা থাকে।
২৮. পুরো কন্টেন্ট এর মধ্যে ০.৭% কীওয়ার্ড রাখা উত্তম, এর বেশি নয়।
২৯. আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ব্লগিং করে থাকেন তাহলে অবশ্যই Yoast প্লাগিনটি ব্যবহার করবেন।
৩০. আর্টিকেলটি পাবলিশ করার পর Google Plus এ শেয়ার করতে ভুলবেন না।

No comments

Powered by Blogger.